অধ্যাপক জায়দুর রহমান ও আবদুল বাসেতের ইন্তিকালে জামায়াত আমীরের শোক
বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর রুকন, বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ এবং রাজশাহী মহানগরীর সাবেক শূরা ও কর্মপরিষদ সদস্য অধ্যাপক জায়দুর রহমান ব্রেইন স্ট্রোকে আক্রান্ত হয়ে গত মঙ্গলবার রাত সাড়ে ৮টায় ৭৮ বছর বয়সে ইন্তিকাল করেছেন (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিঊন)। তিনি স্ত্রী, ১ পুত্র ও ১ কন্যাসহ বহু আত্মীয়-স্বজন রেখে গিয়েছেন। গতকাল বুধবার বাদ জোহর শিরোইল কেন্দ্রীয় মসজিদ ময়দানে জানাযা শেষে তাকে টিকাপাড়া সামাজিক কবরস্থানে দাফন করা হয়েছে।
এ দিকে জামায়াতে ইসলামী বগুড়া পশ্চিম সাংগঠনিক জেলার কাহালু উপজেলার সদস্য (রুকন) আবদুল বাসেত হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মঙ্গলবার দিবাগত রাত পৌণে ৪টায় ৫৫ বছর বয়সে ইন্তিকাল করেছেন (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিঊন)। তিনি স্ত্রী, ১ পুত্র ও ১ কন্যাসহ বহু আত্মীয়-স্বজন রেখে গিয়েছেন। বুধবার বাদ জোহর কল্যাণপুর মাদ্রাসা মাঠে জানাযা শেষে তাকে পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয়েছে।
শোকবাণী : অধ্যাপক জায়দুর রহমান ও আবদুল বাসেতের ইন্তিকালে গভীর শোক প্রকাশ করে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমীর ডা. শফিকুর রহমান গতকাল শোকবাণী দিয়েছেন।
শোকবাণীতে তিনি বলেন, বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ প্রফেসর জায়দুর রহমান বহু শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গড়ে তুলে দেশের শিক্ষা বিস্তারে অনেক ভূমিকা রেখে গিয়েছেন এবং বহু মানুষকে ইসলামের আলোয় আলোকিত করেছেন। অধ্যাপক জায়দুর রহমান ও আবদুল বাসেতের ইন্তিকালে আমরা ইসলামী আন্দোলনের ২ জন নিবেদিত প্রাণ দাঈকে হারালাম। তারা ন্যায় ও ইনসাফ ভিত্তিক সমাজ প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে নিরলসভাবে কাজ করে গিয়েছেন এবং ইসলামী আন্দোলনের প্রচার ও প্রসারে তাদের অনেক অবদান রয়েছে। আমি তাদের ইন্তিকালে গভীর শোক প্রকাশ করছি।
শোকবাণীতে তিনি আরো বলেন, তাদেরকে আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তা’আলা ক্ষমা ও রহম করুন এবং তাদের কবরকে প্রশস্ত করুন। তাদের গুনাহখাতাগুলোকে ক্ষমা করে দিয়ে নেকিতে পরিণত করুন। কবর থেকে শুরু করে পরবর্তী প্রত্যেকটি মঞ্জিলকে তাঁদের জন্য সহজ, আরামদায়ক ও কল্যাণময় করে দিন। আল্লাহ রাব্বুল আলামীন তাদেরকে জান্নাতে উচ্চ মাকাম দান করুন এবং তাদের শোকাহত পরিবার-পরিজনদেরকে এ শোক সহ্য করার তাওফিক দান করুন।